

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রবণতা জানার জন্য বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) ‘ইয়ুথ ম্যাটারস সার্ভে ২০২৫’ শীর্ষক জরিপ চালিয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বিওয়াইএলসি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২,৫০০ তরুণ-তরুণীর মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে ১৯.৬ শতাংশ তরুণ বিএনপিকে ভোট দেবেন, ১৬.৯ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করছেন, আর ৩.৬ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবার মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, ৯.৫ শতাংশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে এবং ৩০ শতাংশ তরুণ এখনও সিদ্ধান্তহীন। ১৭.৭ শতাংশ উত্তরদাতা পছন্দের দল প্রকাশে অনিচ্ছুক।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিওয়াইএলসির নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন ভয়েস ফর রিফর্মের সহসমন্বয়ক ফাহিম মাশরুর, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জান্নাতুল মাওয়া ও লিড ফ্যাকাল্টি মুনিরা সুলতানা।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীর ৮৯ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার এবং ৯৭.২ শতাংশ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে ইচ্ছুক।
৪৯.৮ শতাংশ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
৬৩.১ শতাংশ জানান, তারা সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশে নিরাপদ বোধ করেন।
জরিপে ৫২.৬ শতাংশ তরুণ ছাত্র রাজনীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে মনে করেন। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ রাজনৈতিক প্রভাবকে, ২৩.৮ শতাংশ সহিংসতা ও সংঘর্ষকে এবং ১১.১ শতাংশ ক্ষমতা ও সম্পদের অপব্যবহারকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আগামী পাঁচ বছরের অগ্রাধিকার বিষয়ে ৬৭.১ শতাংশ উত্তরদাতা দুর্নীতি নির্মূলকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মনে করেন। ৬৫.৩ শতাংশ সামাজিক সম্প্রীতির অবস্থার বিষয় জানালেও ৭৬ শতাংশ মনে করেন দেশের নারীরা নিরাপদ নন।
তরুণদের মধ্যে ৩৯.১ শতাংশ উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহী, আর ১৮.৩ শতাংশ বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন। ৫৯.৬ শতাংশ মনে করেন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য বাস্তব পরিস্থিতি সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না।
জরিপ থেকে দেখা গেছে, ৬১.৭ শতাংশ তরুণ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তাহসিনাহ আহমেদ বলেন, “তরুণরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সচেতন। তাদের কথা শোনা এবং নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করা এখন অত্যন্ত জরুরি।”
ফাহিম মাশরুর যোগ করেন, “তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ তাদের নিতে হবে।” ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, “তরুণরা শিক্ষা, জীবিকা ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে চিন্তিত হলেও ৬১.৭ শতাংশ আশাবাদী।”
মন্তব্য করুন
