

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যশোরের ঐতিহ্যবাহী ও দেশের বৃহত্তম মণিহার সিনেমা হল ৪২ বছর পর ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ হলে সিনেমা দেখার জন্য জাপান, কোরিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড থেকে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ছুটে আসতেন।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের নকশা করেছিলেন কাজী মোহাম্মদ হানিফ। একসময় ঢালিউডের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত এই হল আন্তর্জাতিক দর্শকদেরও টেনেছিল।
তবে বর্তমানে দর্শক সংকট ও ব্যবসায়িক মন্দার কারণে হলটি ভেঙে মার্কেটের অংশ হিসেবে আবাসিক হোটেল তৈরির পরিকল্পনা করছেন মালিক জিয়াউল ইসলাম মিঠু। আপাতত কলকাতার সিনেমা দেখানো হলেও দর্শক না থাকায় সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ করে শুধু 'মণিহার' সিনেপ্লেক্স চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গেল ঈদের পর বেশ মন্দা সময় পার করছেন বলে জানা গেছে। সিনেমা না থাকায় এখন হলটিতে কলকাতার সিনেমা চালাচ্ছেন তারা। তাতেও দর্শক মিলছে না। এ ছাড়া সিঙ্গেল হলটি ছাড়াও একটি মাল্টিপ্লেক্স হল ‘মণিহার সিনেপ্লেক্স’ থাকায় সেটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
হলটির মালিক জিয়াউল ইসলাম মিঠু বলেন, এখন তো ছবি নেই, ছবি না থাকলে হল কিভাবে চালাব। এখন কলকাতার ‘অভিমান’ সিনেমাটি চালাচ্ছি, যেটা এর আগে চারবার চালিয়েছি আর সিনেপ্লেক্সে চালাচ্ছি সালমান শাহের ‘বিক্ষোভ’ সিনেমাটি। এভাবে তো চালানো যায় না। তাই আমরা পরিকল্পনা করছি হলটি বন্ধ করে দেওয়ার।
লোকসানের পাল্লা ভারী হতে হতে এখন হলের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। হলটি ভেঙে মার্কেট করা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হলের সিট সংখ্যা ১৪৩০টি। আমাদের স্টাফ আছে ২৫ জন। এভাবে তো চালানো যায় না। দেখা যায় পুরো মার্কেটে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে এক লাখ কিংবা দেড় লাখ।
সিঙ্গেল হলটি ভেঙে হয়তো সামনে মার্কেটের জন্য জায়গা করব, আবাসিক হোটেলগুলোকে স্যাংকশন করব। তা ছাড়া আরেকটা সিনেপ্লেক্সও হতে পারে।
ইতিমধ্যে আর্কিটেকচারকে ডিজাইন করতে দেওয়া হয়েছে, এরপর সেটা পাস করে পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ হবে। এটাও সময় লাগবে সব কিছু হতে। তার আগ পর্যন্ত হয়তো আমরা এভাবেই চলাব।
কবে নাগাদ এই সিঙ্গেল হলটি ভেঙে ফেলা হবে, সেটি এখন নিশ্চিত করতে না পারলেও জানালেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে, সেগুলো পাস হলে তারপর হয়তো ভাঙনের কাজ শুরু হবে। এ সময় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। সিঙ্গেল হলটি ভাঙা হলেও সিনেপ্লেক্সটি সচল থাকবে বলে জানালেন এই হল মালিক।
উল্লেখ্য, যশোর জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম মণিহার সিনেমা হলটি ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    