সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত টুকরো টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দিবে না: আমান আযমী

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী
expand
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতা এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ তুলেছেন।

বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বক্তব্য দেন।

আজমী দাবি করেন, “ভারত যতদিন টুকরো টুকরো না হয়ে যাবে, কেয়ামত পর্যন্ত বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দেবে না।” তার অভিযোগ, নয়া দিল্লি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতার পেছনে ভূমিকা ছিল।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, সেই সময় সশস্ত্র শান্তিবাহিনী নিজ দাবিতে ব্যর্থ হয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে; শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভারত সাড়া দেয়নি, কিন্তু তার পতনের পর শান্তিবাহিনীকে আশ্রয়, খাবার, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আজমী আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে, কিন্তু দলটি ক্ষমতায় না এলেই সেখানে অস্থিরতা দেখা দেয়।

১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে আজমী বলেন, এটি ছিল “তথাকথিত এবং আইওয়াশ চুক্তি।”

তার দাবি, খাগড়াছড়ির অনুষ্ঠানে শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লার্মা অচল অস্ত্র জমা দিলেও কার্যত সক্রিয় অস্ত্রভাণ্ডার গোপন রাখা হয় এবং পরবর্তীতে ইউপিডিএফকে সংগঠিত হতে সহায়তা করে।

আজমীর মতে, “আওয়ামী লীগ সরকার শেষ হওয়ার পরপরই এই গ্রুপগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে।”

আজমী বলেন, অতীতের তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রায় ২০০টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়, যা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয়তা বাড়ানোর সুযোগ দেয়।

তিনি বলেন, “একসময় যেসব গ্রামে আমরা যেতাম, সেখানে সেনাবাহিনীর গায়ে হাত তোলা অকল্পনীয় ছিল। আজ সেই দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X