

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমালয়ের একেবারে নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগেই এ জেলায় শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করে।
তবে এবার বর্ষা কাটার আগেই শীতের আগমন ঘটেছে এবং প্রতিবছরের চেয়ে দ্রুতই তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে । গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রাট পাদলরত ১৩ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দমশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা।
স্থানীয়রা বলছেন,তাপমাত্রার এই তারতম্যের কারণে জেলায় দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
দিনের পর দিন মাঠে কাজ করতে হওয়ায় ঠান্ডা তাদের জীবনে বাড়তি দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত বাড়লেও এখনো তেমনভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। যদিও কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্প পরিসরে শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। শীতার্তদের দাবি,যেহেতু শীতের প্রকোপ বাড়ছে,তাই এখন থেকেই যদি সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়, তবে তা অনেক মানুষের উপকারে আসবে।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা নাছিমা বেগম বলেন, প্রতি বছর শীত আসে, কিন্তু শীতবস্ত্র সবসময় প্রকৃত মানুষদের হাতে পৌঁছায় না। দিনে গরম কাপড় আর রাতে লেপের অভাবে ঠান্ডা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় কম্বল দেওয়া হয়, কিন্তু সেটিও শীত পুরোপুরি নিবারণ করতে পারে না।
এদিক একই কথা বলেন,সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার বাসিন্দা বশিরুল আলম বলেন, “শীত এখনই পড়তে শুরু করেছে। তাই এ সময় শীতবস্ত্র পেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। শীতের শেষে বিতরণ করলে অনেকেই তা পায় না, আর কাজে তেমন লাগে না।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের হিম বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় এ অঞ্চলে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আগামী সপ্তাহে আরও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
মন্তব্য করুন
