সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
expand
নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈম স্বাক্ষরিত আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নুরুল হুদা খানকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার পাল বলেন,“অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তদন্তে অবহেলা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসকের অবহেলায় চিকিৎসাহীন অবস্থায় মারা যান তেলিগাতী ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়া।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা ও জ্বরে ভুগতে থাকায় ৯ ডিসেম্বর তাঁকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে রোগীর অবস্থার হঠাৎ অবনতি হলে স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আজিমুল সাদাত সুমনের কাছে ছুটে যান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকা ডাক্তার দরজা খুলেননি। একই সময়ে নার্স অমৃতা হাজংও তাঁকে বারবার ফোন করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। চিকিৎসক উপস্থিত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মারা যান জুয়েল মিয়া।

নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, আমরা ডাক্তারকে অনেক ডাকাডাকির পরেও ডাক্তার আসেনি। ডাক্তার আসলে হয়ত আমার স্বামী বাঁচতে পারতেন। আমি এর বিচার চাই।

ঘটনার পর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক কাউকে না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ করা হয়নি। ঘটনার সময় কর্তব্যরত নার্স অমৃতা হাজং বলেন, “আমরা অনেকবার ডাকাডাকি করেছি। কিন্তু ডাক্তার আসেননি। অন্তত একবার রোগীটাকে দেখে গেলে হয়তো এমনটা হতো না।”

সিভিল সার্জন ডা. গোলাম মাওলা নঈম বলেন, চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে, এটা প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক আজিমুল সাদাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাঁর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X