

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া বালুবাহী একটি বাল্কহেডের নিখোঁজ দুই লস্করের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বাল্কহেডটির ইঞ্জিন রুম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় নোঙর করা অবস্থায় বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
নিহতরা হলেন, কাসফা স্নেহ বাল্কহেডের লস্কর পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরগরবদী এলাকার আমির হাওলাদারের ছেলে মোহা. জহুরুল ইসলাম শাকিল (২৫) এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মো. হাসান (২০)।
ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে নামে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, নোঙর করা বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন দুই লস্কর। লঞ্চের সজোরে ধাক্কায় ইঞ্জিন রুমটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে সেখানে ডুবুরিরা প্রথমে ঢুকতে পারেননি। পরে ফ্লোটিং এক্সাভেটর দিয়ে ইঞ্জিন রুমের প্রবেশপথ ভেঙে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পাগলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম জানান, ‘এমভি কাশফা স্নেহা’ নামে বাল্কহেডটি নদীতে নোঙর করা ছিল। এ সময় ঢাকাগামী ‘সুন্দরবন-১৬’ নামের একটি লঞ্চ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। বাল্কহেডে থাকা তিনজন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও দুই লস্কর নিখোঁজ হন।
তিনি বলেন, সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাল্কহেডের চালক নান্নু মিয়া বলেন, সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। তখন বাল্কহেডটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। কাচের জানালা ভেঙে কোনোমতে তিনি বের হতে পেরেছেন।
দুর্ঘটনার পর নদীর পাড়ে ছুটে আসেন নিহত জহুরুল ইসলামের ভাই আল-আমিন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ইঞ্জিন রুমের গেট লক হয়ে যাওয়ায় ভেতরে থাকা দুজন বের হতে পারেননি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফয়েজউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ধাক্কা দেওয়ার পর লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে নৌ পুলিশ লঞ্চটিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকায় ‘বোগদাদিয়া-১৩’ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে আরেকটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে যায়। তবে সে ঘটনায় বাল্কহেডের পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন
