বুধবার
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে গুলি করে ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শাকিলের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ এএম
শাকিল মিয়া এবং তার সহযোগী আরিয়ান আহমেদ
expand
শাকিল মিয়া এবং তার সহযোগী আরিয়ান আহমেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে আহত করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত লায়ন শাকিল (শাকিল মিয়া) এবং তার সহযোগী আরিয়ান আহমেদকে ভারত থেকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির হাতে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

গ্রেফতার হওয়া শাকিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শাকিল মিয়া (৩৩) ও পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. আরিয়ান আহমেদ (২৪)। শাকিলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর কান্দিপাড়া এলাকায় গুলি করে তিনজনকে আহত করে শাকিল। এরই জেরে রাতে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। শাকিল তখন থেকেই পলাতক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় ৪৯ ব্যাটালিয়ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ শাকিলসহ দুজনকে আটক করে। শুক্রবার দুপুরে জেলার কসবা উপজেলা সীমান্তের ২০৩৯ পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদেরকে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। বিজিবি শুক্রবার বিকালে কসবা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বিজিবির কসবা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কসবা থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেন।

কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহামন জানান, বিএসএফ দুজনকে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও ছাত্রদল নেতা শাকিল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। একটি চোরাচালান পণ্য আটক নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এরই জেরে ২৮ নভেম্বর রাতে শাকিলের প্রকাশ্য গুলিতে তিনজন আহত হয়। রাতে দেলোয়ার হোসেন দলবল নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় সাদ্দাম নিহত হয়। সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ, দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা সাদ্দামকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর থেকে শাকিল আখাউড়া পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় পূর্ব পরিচিতের ভাড়া বাসায় অবস্থান নেয়। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি। এক পর্যায়ে সে ভারত পালিয়ে যান।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X