

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ১৩টি লোহার দানবাক্স আজ সকালে খোলা হচ্ছে। এই সিন্দুক ঘিরে ধর্মপ্রাণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জবাসীর মধ্যে দেখা গেছে বাড়তি উদ্দীপনা ও কৌতূহল।
সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। সে সময় সিন্দুকগুলো থেকে পাওয়া যায় ৩২ বস্তা টাকা। দীর্ঘ সময় ধরে গণনা শেষে পাওয়া মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা। পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল এই টাকা গণনার কাজে অংশ নেয়।
এবারের সিন্দুক খোলাকে বিশেষ বলা হচ্ছে কারণ প্রায় ৩ মাস ২৭ দিন পর এটি খোলা হচ্ছে। সাধারণত প্রতি তিন মাস অন্তর দানসিন্দুক খোলা হলেও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
পাগলা মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা দান করতে আসেন। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিশেষ দিনে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ সময় দানের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তাই অনেকের ধারণা, এবার আগের সব রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে দানের অঙ্ক।
আজ সকালে সিন্দুক খোলার সময় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। অর্থ গণনার কাজে প্রায় ৫০০ জন অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে প্রাপ্ত অর্থ মসজিদের উন্নয়ন কার্যক্রম, গরিব ও অসহায় মানুষের সহায়তা, মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনাসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদটি। শুরুতে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হলেও বর্তমানে এর আয়তন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ একর ৮৮ শতাংশে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে রয়েছে একটি উঁচু মিনার, যার উচ্চতা প্রায় পাঁচতলা ভবনের সমান এবং দূর থেকেই চোখে পড়ে।
এখানে একসঙ্গে প্রায় ৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্যও রয়েছে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
