

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এবং আজ শুক্রবার সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভেতর থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল।
নিহত দুজন হলেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট এলাকার মো. শামীম জোমাদ্দার (৪০) ও তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলে সিয়াম।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে ট্রলারের ভেতর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ট্রলারডুবির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার শোকাহত পরিবারের বাড়িতে যান রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ ভূঞা। এদিকে একই পরিবারে বাবা ছেলে মৃত্যু ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের মাতম। আহাজারি থামছে না।
এর আগে গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বঙ্গোপসাগরের পাইপবয়া এলাকায় ‘এমভি সিদ্দিক’ নামের একটি ট্রলার ডুবে যায়। নিহত শামীম জোমাদ্দারের বাবা মো. সিদ্দিক জোমাদ্দার জানান, তাঁর মালিকানাধীন ওই ট্রলারে ছয়জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। গভীর রাতে ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ট্রলারের নিচের অংশে ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।
একপর্যায়ে ট্রলারটি সাগরে তলিয়ে যায়। এ সময় তিনি নিজে এবং আরও তিনজন জেলে অন্য একটি ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হলেও শামীম ও তাঁর ছেলে নিখোঁজ হন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলে শাওন হাওলাদার বলেন, গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গাবালীর চরগঙ্গা বাঁধঘাট থেকে ট্রলারটি নিয়ে তাঁরা সাগরে যান। দুই দিন মাছ ধরার পর বুধবার রাতে পাইপবয়া এলাকায় নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে ঝড় শুরু হলে ট্রলারে পানি ঢুকে সেটি উল্টে যায়। উল্টে যাওয়া ট্রলারের ওপর আশ্রয় নেন চারজন জেলে। তবে শামীম ও তাঁর ছেলে তখন আর দেখা যায়নি।
নিহত শামীমের ছোট ভাই সাকিব জোমাদ্দার সোহেল বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভাতিজা সিয়ামের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এরপর দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
ট্রলারডুবির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার শোকাহত পরিবারের বাড়িতে যান রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ ভূঞা। তিনি পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং প্রাথমিকভাবে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেন। একই সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
