

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের তিন নেতার সন্ধানে মানববন্ধন করেছে শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির নেতারাও সংহতি প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা গুম হওয়া তিন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনসহ আওয়ামী সরকারের সময় গুমের শিকার সব নেতা-কর্মী ও সাধারণ নাগরিকের খোঁজ পাওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তারা ‘আওয়ামী লীগ ও পেটোয়া বাহিনী’র হামলা-নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় বিচার বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। আমরা এখনো আমাদের তিন ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। একটি স্বাধীন দেশে এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে কেউ গুম হবে না এবং সবাই ন্যায়বিচার পাবে।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে অনেক বিএনপি নেতাকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। বহু শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হাতে হামলার শিকার হয়েছে। আমাদের জবি ছাত্রদলের তিন ভাই এখনো নিখোঁজ। ১৭ বছর আমরা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছি। যারা এসব গুম-খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ্ উদ্দিন বলেন, “গুম-খুন এ দেশে এক সময় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জুলাইয়ের পরও আমরা অনেকের খোঁজ পাইনি। জবির তিন ছাত্রদল নেতা, আমার আত্মীয় ইলিয়াস আলীসহ অনেকেই এখনও নিখোঁজ। মানবাধিকার দিবসে আমরা দাবি জানাই, আগামীকাল যেন আমরা তাদের ভুলে না যাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করুক।”
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হলেও জবিতে এখনো হয়নি—এটা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি করা হোক।”
মন্তব্য করুন
