

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর গুলশান–২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নতুন নাম ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’—এর নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ নামফলক উন্মোচন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদিলুর রহমান খান বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ দেখতে চায়। ফেলানীর সঙ্গে সংঘটিত নৃশংসতার স্মৃতি যেন প্রতিদিন সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, সে লক্ষ্যেই এই সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই সড়কের মাধ্যমে বিশ্ব বিবেকের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে বাংলাদেশের সীমান্তে এখনো সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য পরিস্থিতি বিদ্যমান। বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেই ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’-এর নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ফেলানির নামে এ রাস্তা। মাথা উঁচু করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে তৈরি হলো। বাংলাদেশ যে মাথা উঁচু করে সম্মান বজায় রাখতে পারে তার প্রতীক এ রাস্তা। প্রতিবেশীসহ যেকোনো দেশের সাথে, নিজের সম্মান বজায় রেখে কথা বলবো সেটি স্মরণ করিয়ে দেবে এ সড়ক।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ফেলানি হত্যা নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এ রাস্তা সে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেবে।
এর আগে, রাজধানীর গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নতুন নামকরণ ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এটি ভারতীয় দূতাবাসের পাশের একটি সড়ক। সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মৃতিকে ধারণ করে সড়কটির এই নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ফেলানী হত্যাকাণ্ড। ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে ১৫ বছরের এই কিশোরী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কাঁটাতারে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা ফেলানীর নিথর দেহ দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি করে।
মন্তব্য করুন

