

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার এবং বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সবার জন্য আলাদা আসন নির্ধারিত ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি নির্ধারিত আসনে বসেন। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে এসে জামায়াত নেতাদের দেখে 'রাজাকার' বলে কটূক্তি শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে রূপ নেয়।
জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক অভিযোগ করেন, “প্রশাসনের দাওয়াতে আমরা নির্ধারিত আসনে বসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই বিএনপি নেতা জাকির হোসেন বাবুল ও যুবদল নেতা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং দুজন হাসপাতালে ভর্তি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার সময় পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার ছিল।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের অনুষ্ঠানে তাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত ছিল। বসা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়, যাতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার জানান, বসার আসন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
