

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাইয়ের সম্মুখযোদ্ধা হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর হামলার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি আরো বলেন আধিপত্যবাদমুক্ত জুলাই চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন।
মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও পেকুয়া উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ২টায় চকরিয়া সরকারি কলেজ ময়দানে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও র্যালী -পূর্ব এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া সরকারি কলেজ ময়দানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল র্যালি কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়। আয়োজকদের মতে, র্যালিটি চকরিয়া-পেকুয়া অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আকতার আহমদের সভাপতিত্বে এবং চকরিয়ায় জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালি ও মাওলানা সৈয়দ করিমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির ও চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন,জামায়াত ক্ষমতায় আসলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবীর আলোকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করা হবে। চকরিয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বশর, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দীন, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমির আরিফুল কবির, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উপজেলা (উত্তর) সাবেক আমির মাওলানা ছাবের আহমদ এবং চকরিয়া উপজেলা (দক্ষিণ) সাবেক আমির মাওলানা মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু, পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরউদ্দীন মোহাম্মদ বাবর, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়সার, জেলা শিবিরের সভাপতি আবদু রহিম নরী, সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা, সমাজসেবক সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আবু নাঈম আযাদ, গোলাম কবির, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ মূছা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিভক্তির রাজনীতি নয়, দেশ গড়ার রাজনীতিই আজ সময়ের দাবি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং ইতিহাস বিকৃত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের সম্মুখযোদ্ধা হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর হামলার শামিল।
সমাবেশে বক্তারা স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে ইসলামভিত্তিক রাজনীতি এবং জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন
