

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বাইশারী-বড়বিল সংযোগ সড়কের ব্রীজটি বেহাল অবস্থায় ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। বাইশারী ইউনিয়নের তদন্ত কেন্দ্র সড়কের কাপ্তাইর শিয়া এলাকার গর্জন ছড়া খালের উপর বাইশারী বড়বিল সংযোগ সড়কের ব্রীজটি ধসে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
বাইশারী-বড়বিল সীমান্ত সড়কটি অতিব জনগুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিন উক্ত ব্রীজ দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের অনেক গুলো গ্রামের লোকজনের বসবাস। তাছাড়া রয়েছে, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, বাজার, তদন্ত কেন্দ্র, ব্যাংক, বীমা, ও স্কুল, কলেজ, সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন শত শত ছেলে মেয়ে কিশোর কিশোরীদের উক্ত ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উক্ত ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে। ব্রীজটি চরম ঝুঁকি অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান, স্থানীয় বাসিন্দা আমানুল হক, নুরুল কবির, আমির হোসন, মাঃ রুহুল আমিন সহ অনেকে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি ইতি মধ্যে ব্রীজের উপর দিয়ে পার হতে যেয়ে অনেক লোকজন খালে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
সরেজমিনে ইউপি সদস্য ফিরোজ মেম্বার বলেন বাইশারী-বড়বিল সীমান্ত এলাকায় গর্জই খালের উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে দীর্ঘ ১৫বছর আগে। কিন্তু ভয়াবহ বন্যায় ব্রীজটি পাহাড়ি ঢলে ধসে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরে আছে, যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম বান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের লোকজনের বসবাস রয়েছে বড়বিল এলাকায়। ব্রীজের বেহাল অবস্থায় হাজারো লোকজন এখন ঝুঁকিনিয়ে পারাপর করতে হচ্ছে। তাছাড়া ব্রিজ ধসে যাওয়ার ফলে বর্তমানে গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারে আনতে হয় কাঁধে বহন করে।
ব্রীজটি নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও লাইভসহ অনেক লেখা লেখি করেছে। তারপরও সরকারের নজরে আসেনি হয়তো এবার আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোছন, মোজাফর আহমদ, জানান ব্রীজটি তৎকালীন বাইশারী চেয়ারম্যান নুরুল হাকিমের আমলের নির্মাণ করা হয়েছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধরনের মেরামত ও করা হয়নি।
এবিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সরেজমিনে গিয়ে দেখেন ব্রীজটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিষয়টি তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করেছেন।
স্থানীয়রা ও রাস্তা দিয়ে চলাচলের ভুক্তভোগীরা ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য এলইজিডির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
